বাংলাদেশ প্রতি বছর ৪০ মিলিয়নের টনের বেশি চাল উৎপাদন করে এবং এ হারে উৎপাদনের জন্য বিশ্বে চাল উৎপাদনে চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার পরই বাংলাদেশের স্থান। অনেক দক্ষিণ এশীয়র মতো বাংলাদেশীরাও অর্ধসিদ্ধ চাল খেতে পছন্দ করে। অন্য কথায়, অর্ধ সিদ্ধ চাল বেশি শক্ত, কম আঠালো ও বেশি পুষ্টিকর। এইভাবে, বাংলাদেশের ৯০% চাল ছোট বা মাঝারি আকৃতির ও উচ্চ শক্তিসম্পন্ন রাইস বয়লারে রান্না করা হয়। অনেকটা পুরনো পদ্ধতিতে চালের তুষ ও কুঁড়া জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এই সিদ্ধ করার প্রক্রিয়া দেশের জন্য কয়েকটি সমস্যা সৃষ্টি করে। প্রথমত: বাংলাদেশ এনার্জি্তে একটি ঘাটতির দেশ হওয়ায় এর মোট শক্তি সরবরাহের ৫০% বায়োমাসের উপর নির্ভরশীল এবং বর্তমানে বাংলাদেশ বায়োমাস, তুষ, প্রভৃতির উৎসের অর্ধেক শেষ হয়ে যাচ্ছে জ্বালানির অদক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে। রাইস পারবয়লার শুধু বায়োমাসের যৎসামান্য মজুদকেই নি:শেষ করছে না, এগুলো অপারেটর ও দর্শকদের জন্য ও খুব বিপজ্জনক। বয়লারের বিস্ফোরনে প্রতি বছর ১০০’র বেশি লোক মারা যায় এবং ৫০০’র বেশি লোক মারাত্মকভাবে আহত হয়। বয়লারগুলোর বিস্ফোরণের কারণ হলো এর অভ্যন্তরে স্টিম বা বাস্পের প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয়। চুলায় হাতে ছোড়া জ্বালানি উত্তপ্ত হয়ে চালকের দিকে ছুটে আসে। তাছড়া, চুলা হতে ধুয়া, কার্বন মনোক্সাইড ও কনাসমূহ নির্গত হয় যা চোখের অসুখ, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, মাথাব্যথা, এবং ক্যানসারের সৃষ্টি করে। বাংলাদেশীদের এ ধরনের চুলা ব্যবহার হতে বিরত হয়ে একটি এনার্জি দক্ষ ও নিরাপদ পদ্ধতির চুল্লি ব্যবহার করা উচিত যা স্রেডার পরিকল্পনাধীন। জিআইজি সাপোর্টে এসইপি প্রকল্প ইতোমধ্যে ৫০ টির ও বেশি উন্নত রাইস পারবয়লিং সিস্টেম স্থাপন করছে এবং ক্রমান্বয়ে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্রেডা এই ধরনের উন্নত বয়লার স্থাপন ও ব্যবহার করার জন্য ঋন সুবিধা দিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে। অর্থায়ন প্রক্রিয়া গতিশীল করতে সকল উদ্যোক্তাদের নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Improved Rice parboiling system
Traditional Rice parboiling system